দল ছেড়ে অন‍্য দলে যোগদান বিবাহ বিচ্ছেদের কারণ হতে পারে কি ? সুজাতা প্রসঙ্গে চন্দ্রিমা

23rd December 2020 8:34 am হুগলী
দল ছেড়ে অন‍্য দলে যোগদান বিবাহ বিচ্ছেদের কারণ হতে পারে কি ? সুজাতা প্রসঙ্গে চন্দ্রিমা


সুজিত গৌড় ( হুগলী ) :  দল ছেড়ে অন্য দলে যোগদান করলেই বিবাহ বিচ্ছেদের গ্ৰাউন্ড হতে পারে কী? এটা কি আইনি ? স্বীকৃতি পায়? এই ধরনের বিবাহ বিচ্ছেদের নোটিশে?  তাহলে বলবো মহিলাদের সম্মান যেন সবাই দেয়। সে যে কোন দল করতে পারে। 'সুজাতা খাঁ' এর তৃনমুলে যোগদান প্রসঙ্গে সৌমিত্র খাঁ এর বিবাহ বিচ্ছেদ নোটিশ পাঠানো প্রসঙ্গে মন্তব্য করলেন রাজ‍্যের মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। হরিপালে তৃনমুল মহিলা কংগ্ৰেসের সাংগঠনিক সভায় এসে একথা বলেন রাজ‍্যের মন্ত্রী। 'খাঁ' পদবী থেকে মুক্তি দেওয়া প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, আমার বৈবাহিক 'বসু' পদবী আমি ব‍্যবহার করিনা। আমি 'ভট্টাচার্য' পদবী ব‍্যবহার করি। তাতে আমার স্বামী রাজ্যের শশুড়বাড়ির কোন অসুবিধা হয় না। আমি শশুড়বাড়িতে স্বামীর সাথে থাকি। তাই খাঁ পদবী থেকে মুক্তি দিলাম একথা টা ঠিক নয়। তাছাড়া প্রাপ্ত বয়স্ক মহিলা ভারতীয় গনতন্ত্র ও সাংবিধানিক ক্ষমতা অনুযায়ী যে কোন দল করতে পারে। য়ারা এটা মনে করে তারা রাজনৈতিক প্রভাব ও ব‍্যাঙ্কের টাকা বাড়াবার জন‍্য করে।





Others News

নিম্মচাপের জেরে অতিবৃষ্টি : হুগলী জেলায় ব‍্যাপক ক্ষতি চাষে

নিম্মচাপের জেরে অতিবৃষ্টি : হুগলী জেলায় ব‍্যাপক ক্ষতি চাষে


সুজিত গৌড় ( হুগলী ) :  নিম্ন চাপের জেরে শনিবার থেকে অকাল বৃষ্টিতে মাথায় হাত চাষীদের।
জেলায় আলু চাষে ক্ষতির পরিমাণ ছাড়িয়ে যাবে কয়েক লক্ষ টাকার উপর বলে দাবি চাষীদের। ধান জমিতে যেমন ক্ষতির পাশাপাশি হুগলী জেলা জুড়ে ব্যাপক ক্ষতি এবার আলু চাষে। চলতি বছরে বার বার নিম্নচাপ  চাপের জেরে যেভাবে ধান চাষ পিছিয়ে ছিল ঠিক আলু চাষও পিছিয়ে ছিল প্রায় পনোর দিন। তবে গত শুক্রবার পযন্ত হুগলী জেলায় প্রায় ৩০ শতাংশ জমিতে বসানো হয়ে গিয়েছিল আলু এবং ৬০ শতাংশ জমি আলু চাষ উপযোগী করে তুলে ছিলেন চাষীরা। ধান চাষের মত আলু চাষের শুরুতে এবার কাল হয়ে উঠলো অকাল বৃষ্টি। অকাল বৃষ্টির ফলে যে সব জমিতে ইতি মধ্যেই আলু বসানো হয়ে গিয়েছিল, সেই সব জমিতে জল জমে থৈ থৈ করছে। ফলে জমিতে বসানো সমস্ত আলু বীজ পচে নষ্ট হতে বসেছে।  কারণ আলু বসানোর পর অন্তত পনেরো থেকে কুড়ি দিন কোনো জলের প্রয়োজন পরে না আলু চাষের ক্ষত্রে।
এ বছর এক বিঘা জমিতে চাষ উপযোগী করে আলু বসানো পযন্ত চাষীদের খরচ পড়েছে প্রায় পনেরো হাজার টাকা অন্যদিকে আলু বসানোর আগে পর্যন্ত  এক বিঘা জমিকে  চাষ উপযোগী করে তুলতে খরচ পড়েছে প্রায় সাত হাজার টাকা। অর্থাৎ ইতি মধ্যে নিম্ন চাপের জেরে অকাল বর্ষণে হুগলী জেলার ক্ষতির পরিমাণ ছাড়িয়েছে লক্ষ  লক্ষ টাকার উপর। জেলায় আলু চাষের জমির পরিমান ৯০ হাজার হেক্টর জমি। সেমবার সকাল থেকেই  আলু জমি থেকে জল বের করে আলু বীজ বাঁচানোর মরিয়া চেষ্টা করছেন চাষীরা। চাষীদের দাবি অকাল বর্ষণে একেবারে সর্বস্বান্ত  হয়ে পড়েছে। আবার নতুন করে আলু বসানো বা জমি তৈরি করে আবার আলু বসানো অনেকের পক্ষেই আর সম্ভব হবে না।
অন্যদিকে আবহাওয়া উপযোগী হলে পুনরায় জমি আলু চাষের উপযোগী করে আলু বসাতে সময় লাগতে পারে পনেরো থেকে কুড়ি দিন। ফলে আলু চাষে ফলন যেমন কমবে খাবার আলুর জোগানেও পড়বে টান। আগামী দিনে ধানের ক্ষতির ফলে যেমন  চালের যোগান টান পড়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।  ঠিক তেমনি আগামী দিনে খাবার আলুর জোগানেও টান পড়বে বলে মত চাষীদের।